সূরা লুকমান

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা লুকমান

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

সূরা লুকমান

الٓمّٓ ‌ۚ‏﴿۱﴾

সূরা লুকমান

৩১-১ : আলিফ - লাম - মীম;

সূরা লুকমান

تِلۡكَ اٰيٰتُ الۡكِتٰبِ الۡحَكِيۡمِۙ‏﴿۲﴾

সূরা লুকমান

৩১-২ : এইগুলি জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত,

সূরা লুকমান

هُدًى وَّرَحۡمَةً لِّلۡمُحۡسِنِيۡنَۙ‏﴿۳﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩ : পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ সৎকর্মপরায়ণদের জন্য;

সূরা লুকমান

الَّذِيۡنَ يُقِيۡمُوۡنَ الصَّلٰوةَ وَيُؤۡتُوۡنَ الزَّكٰوةَ وَهُمۡ بِالۡاٰخِرَةِ هُمۡ يُوۡقِنُوۡنَؕ‏﴿۴﴾

সূরা লুকমান

৩১-৪ : যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী;

সূরা লুকমান

اُولٰٓٮِٕكَ عَلٰى هُدًى مِّنۡ رَّبِّهِمۡ‌ وَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‏﴿۵﴾

সূরা লুকমান

৩১-৫ : তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে আছে এবং তাহারাই সফলকাম।

সূরা লুকমান

وَمِنَ النَّاسِ مَنۡ يَّشۡتَرِىۡ لَهۡوَ الۡحَدِيۡثِ لِيُضِلَّ عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٍ‌ۖ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ لَهُمۡ عَذَابٌ مُّهِيۡنٌ‏﴿۶﴾

সূরা লুকমান

৩১-৬ : মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্‌র পথ লইয়া ঠাট্টা - বিদ্রপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।

সূরা লুকমান

وَاِذَا تُتۡلٰى عَلَيۡهِ اٰيٰتُنَا وَلّٰى مُسۡتَكۡبِرًا كَاَنۡ لَّمۡ يَسۡمَعۡهَا كَاَنَّ فِىۡۤ اُذُنَيۡهِ وَقۡرًا‌ۚ فَبَشِّرۡهُ بِعَذَابٍ اَلِيۡمٍ‏﴿۷﴾

সূরা লুকমান

৩১-৭ : যখন উহার নিকট আমার আয়াত অবৃত্তি করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরাইয়া নেয় যেন সে ইহা শুনিতে পায় নাই, যেন উহার কর্ণ দুইটি বধির ; অতএব উহাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও।

সূরা লুকমান

اِنَّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوا وَعَمِلُوۡا الصّٰلِحٰتِ لَهُمۡ جَنّٰتُ النَّعِيۡمِۙ ‏﴿۸﴾

সূরা লুকমান

৩১-৮ : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে সুখদ কানন;

সূরা লুকমান

خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَا ؕ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقًّا ‌ؕ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ‏﴿۹﴾

সূরা লুকমান

৩১-৯ : সেখানে তাহার স্থায়ী হইবে। আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

সূরা লুকমান

خَلَقَ السَّمٰوٰتِ بِغَيۡرِ عَمَدٍ تَرَوۡنَهَا‌ وَاَ لۡقٰى فِى الۡاَرۡضِ رَوَاسِىَ اَنۡ تَمِيۡدَ بِكُمۡ وَبَثَّ فِيۡهَا مِنۡ كُلِّ دَآ بَّةٍ‌ ؕ وَاَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَنۡۢبَتۡنَا فِيۡهَا مِنۡ كُلِّ زَوۡجٍ كَرِيۡمٍ‏﴿۱۰﴾

সূরা লুকমান

৩১-১০ : তিনি আকাশমণ্ডলী নির্মাণ করিয়াছেন স্তম্ভ ব্যতীত - তোমরা ইহা দেখিতেছ; তিনিই পৃথিবীতে স্থাপন করিয়াছেন পর্বতমালা যাহাতে ইহা তোমাদেরকে লইয়া ঢলিয়া না পড়ে এবং ইহাতে ছড়াইয়া দিয়াছেন সর্বপ্রকার জীবজন্তু। এবং আমিই আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করিয়া ইহাতে উদ্‌গত করি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদ।

সূরা লুকমান

هٰذَا خَلۡقُ اللّٰهِ فَاَرُوۡنِىۡ مَاذَا خَلَقَ الَّذِيۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ‌ؕ بَلِ الظّٰلِمُوۡنَ فِىۡ ضَلٰلٍ مُّبِيۡنٍ‏﴿۱۱﴾

সূরা লুকমান

৩১-১১ : ইহা আল্লাহ্‌র সৃষ্টি ! তিনি ব্যতীত অন্যেরা কী সৃষ্টি করিয়াছে আমাকে দেখাও। সীমালংঘনকারীরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে।

সূরা লুকমান

وَلَقَدۡ اٰتَيۡنَا لُقۡمٰنَ الۡحِكۡمَةَ اَنِ اشۡكُرۡ لِلّٰهِ‌ؕ وَمَنۡ يَّشۡكُرۡ فَاِنَّمَا يَشۡكُرُ لِنَفۡسِهٖ‌ۚ وَمَنۡ كَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِىٌّ حَمِيۡدٌ‏﴿۱۲﴾

সূরা লুকমান

৩১-১২ : আমি তো লুকমানকে জ্ঞান দান করিয়াছিলাম এবং বলিয়াছিলাম যে, আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তাহা করে নিজেরই জন্য এবং কেহ অকৃতজ্ঞ হইলে আল্লাহ্‌ তো অভাবমুক্ত, প্রশংসার্হ।

সূরা লুকমান

وَاِذۡ قَالَ لُقۡمٰنُ لِا بۡنِهٖ وَهُوَ يَعِظُهٗ يٰبُنَىَّ لَا تُشۡرِكۡ بِاللّٰهِ ؔؕ اِنَّ الشِّرۡكَ لَـظُلۡمٌ عَظِيۡمٌ‏﴿۱۳﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৩ : স্মরণ কর, যখন লুক্‌মান উপদেশচ্ছলে তাহার পুত্রকে বলিয়াছিল, ‘হে বৎস! আল্লাহ্‌র কোন শরীক করিও না। নিশ্চয়ই শির্‌ক চরম জুলুম।’

সূরা লুকমান

وَوَصَّيۡنَا الۡاِنۡسٰنَ بِوَالِدَيۡهِ‌ۚ حَمَلَتۡهُ اُمُّهٗ وَهۡنًا عَلٰى وَهۡنٍ وَّفِصٰلُهٗ فِىۡ عَامَيۡنِ اَنِ اشۡكُرۡ لِىۡ وَلِـوَالِدَيۡكَؕ اِلَىَّ الۡمَصِيۡرُ ‏﴿۱۴﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৪ : আমি তো মানুষকে তাহার পিতামাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়াছি। জননী সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করিয়া গর্ভে ধারণ করে এবং তাহার দুধ ছাড়ান হয় দুই বৎসরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট।

সূরা লুকমান

وَاِنۡ جَاهَدٰكَ عَلٰٓى اَنۡ تُشۡرِكَ بِىۡ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهٖ عِلۡمٌ ۙ فَلَا تُطِعۡهُمَا‌ وَصَاحِبۡهُمَا فِى الدُّنۡيَا مَعۡرُوۡفًا‌ وَّاتَّبِعۡ سَبِيۡلَ مَنۡ اَنَابَ اِلَىَّ ‌ۚ ثُمَّ اِلَىَّ مَرۡجِعُكُمۡ فَاُنَبِّئُكُمۡ بِمَا كُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ‏﴿۱۵﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৫ : তোমার পিতামাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সমকক্ষ দাঁড় করাইতে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নাই, তুমি তাহাদের কথা মানিও না, তবে পৃথিবীতে তাহাদের সঙ্গে বসবাস করিবে সদ্‌ভাবে এবং যে বিশুদ্ধচিত্তে আমার অভিমুখী হইয়াছে তাহার পথ অবলম্বন কর, অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট এবং তোমরা যাহা করিতে সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবহিত করিব।

সূরা লুকমান

يٰبُنَىَّ اِنَّهَاۤ اِنۡ تَكُ مِثۡقَالَ حَبَّةٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ فَتَكُنۡ فِىۡ صَخۡرَةٍ اَوۡ فِى السَّمٰوٰتِ اَوۡ فِى الۡاَرۡضِ يَاۡتِ بِهَا اللّٰهُ ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِيۡفٌ خَبِيۡرٌ ‏﴿۱۶﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৬ : ‘হে বৎস ! ক্ষুদ্র বস্তুটি যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং উহা যদি থাকে শিলাগর্ভে অথবা আকাশে কিংবা মৃত্তিকার নিচে, আল্লাহ্‌ তাহাও উপস্থিত করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত।

সূরা লুকমান

يٰبُنَىَّ اَقِمِ الصَّلٰوةَ وَاۡمُرۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَانۡهَ عَنِ الۡمُنۡكَرِ وَاصۡبِرۡ عَلٰى مَاۤ اَصَابَكَ‌ؕ اِنَّ ذٰلِكَ مِنۡ عَزۡمِ الۡاُمُوۡرِ‌ۚ ‏﴿۱۷﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৭ : ‘হে বৎস ! সালাত কায়েম করিও, সৎকর্মের নির্দেশ দিও আর অসৎ কর্মে নিষেধ করিও এবং আপদে - বিপদে ধৈর্য ধারণ করিও। ইহাই তো দৃঢ়সংকল্পের কাজ।

সূরা লুকমান

وَلَا تُصَعِّرۡ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمۡشِ فِى الۡاَرۡضِ مَرَحًا ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخۡتَالٍ فَخُوۡرٍۚ ‏﴿۱۸﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৮ : ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করিও না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ করিও না ; নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ কােন উদ্ধত, অহংকারীকে পসন্দ করেন না।

সূরা লুকমান

وَاقۡصِدۡ فِىۡ مَشۡيِكَ وَاغۡضُضۡ مِنۡ صَوۡتِكَ‌ؕ اِنَّ اَنۡكَرَ الۡاَصۡوَاتِ لَصَوۡتُ الۡحَمِيۡرِ‏﴿۱۹﴾

সূরা লুকমান

৩১-১৯ : ‘তুমি পদক্ষেপ করিও সংযতভাবে এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করিও; নিশ্চয়ই স্বরের মধ্যে গর্দভের স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’

সূরা লুকমান

اَلَمۡ تَرَوۡا اَنَّ اللّٰهَ سَخَّرَ لَكُمۡ مَّا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ وَاَسۡبَغَ عَلَيۡكُمۡ نِعَمَهٗ ظَاهِرَةً وَّبَاطِنَةً ‌ؕ وَمِنَ النَّاسِ مَنۡ يُّجَادِلُ فِى اللّٰهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٍ وَّلَا هُدًى وَّلَا كِتٰبٍ مُّنِيۡرٍ ‏﴿۲۰﴾

সূরা লুকমান

৩১-২০ : তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ্‌ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁহার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিয়াছেন? মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে, তাহাদের না আছে পথনির্দেশক আর না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব।

সূরা লুকমান

وَ اِذَا قِيۡلَ لَهُمُ اتَّبِعُوۡا مَآ اَنۡزَلَ اللّٰهُ قَالُوۡا بَلۡ نَـتَّـبِـعُ مَا وَجَدۡنَا عَلَيۡهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَلَوۡ كَانَ الشَّيۡطٰنُ يَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰى عَذَابِ السَّعِيۡرِ ‏﴿۲۱﴾

সূরা লুকমান

৩১-২১ : উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহ্বান করে, তবুও কি?

সূরা লুকমান

وَمَنۡ يُّسۡلِمۡ وَجۡهَهٗۤ اِلَى اللّٰهِ وَهُوَ مُحۡسِنٌ فَقَدِ اسۡتَمۡسَكَ بِالۡعُرۡوَةِ الۡوُثۡقٰى‌ؕ وَاِلَى اللّٰهِ عَاقِبَةُ الۡاُمُوۡرِ‏﴿۲۲﴾

সূরা লুকমান

৩১-২২ : যে কেহ আল্লাহ্‌র নিকট আত্মসর্মপণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মযবুত হাতল, যাবতীয় কর্মের পরিণাম আল্লাহ্‌র ইখ্‌তিয়ারে।

সূরা লুকমান

وَمَنۡ كَفَرَ فَلَا يَحۡزُنۡكَ كُفۡرُهٗ ؕ اِلَيۡنَا مَرۡجِعُهُمۡ فَنُنَبِّئُهُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ‏﴿۲۳﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৩ : আর কেহ কুফরী করিলে তাহার কুফরী যেন তোমাকে ক্লিষ্ট না করে। আমারই নিকট উহাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি উহাদেরকে অবহিত করিব উহারা যাহা করিত। অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্‌ সবিশেষ অবহিত।

সূরা লুকমান

نُمَتّـِعُهُمۡ قَلِيۡلًا ثُمَّ نَضۡطَرُّهُمۡ اِلٰى عَذَابٍ غَلِيۡظٍ ‏﴿۲۴﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৪ : আমি উহাদেরকে জীবনোপকরণ ভোগ করিতে দিব স্বল্পকালের জন্য। অতঃপর উহাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করিতে বাধ্য করিব।

সূরা লুকমান

وَلَٮِٕنۡ سَاَلۡتَهُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ لَيَـقُوۡلُنَّ اللّٰهُ‌ ؕ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ‌ ؕ بَلۡ اَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡلَمُوۡنَ‏﴿۲۵﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৫ : তুমি যদি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করিয়াছেন ?’ উহারা অবশ্যই বলিবে, ‍‘আল্লাহ’। বল, ‌‘সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌রই’, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই জানে না।

সূরা লুকমান

لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الۡغَنِىُّ الۡحَمِيۡدُ ‏﴿۲۶﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৬ : আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা আল্লাহ্‌রই ; আল্লাহ্‌, তিনি তো অভাবমুক্ত, প্রশংসার্হ।

সূরা লুকমান

وَلَوۡ اَنَّ مَا فِى الۡاَرۡضِ مِنۡ شَجَرَةٍ اَقۡلَامٌ وَّالۡبَحۡرُ يَمُدُّهٗ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ سَبۡعَةُ اَبۡحُرٍ مَّا نَفِدَتۡ كَلِمٰتُ اللّٰهِ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِيۡزٌ حَكِيۡمٌ ‏﴿۲۷﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৭ : পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় আর সমুদ্র হয় কালি এবং ইহার সঙ্গে আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহ্‌র বাণী নিঃশেষ হইবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

সূরা লুকমান

مَا خَلۡقُكُمۡ وَلَا بَعۡثُكُمۡ اِلَّا كَنَفۡسٍ وَّاحِدَةٍ‌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِيۡعٌۢ بَصِيۡرٌ ‏﴿۲۸﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৮ : তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানেরই অনুরূপ। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম‌্যক দ্রষ্টা।

সূরা লুকমান

اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُوۡلِجُ الَّيۡلَ فِى النَّهَارِ وَيُوۡلِجُ النَّهَارَ فِى الَّيۡلِ وَسَخَّرَ الشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ كُلٌّ يَّجۡرِىۡۤ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّى وَّاَنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِيۡرٌ ‏﴿۲۹﴾

সূরা লুকমান

৩১-২৯ : তুমি কি দেখ না আল্লাহ্‌ রাত্রিকে দিবসে এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন ? তিনি চন্দ্র - সূর্যকে করিয়াছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি বিচরণ করে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ; তোমরা যাহা কর আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে অবহিত।

সূরা লুকমান

ذٰ لِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الۡحَقُّ وَاَنَّ مَا يَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِهِ الۡبَاطِلُ ۙ وَاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡكَبِيۡرُ ‏﴿۳۰﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩০ : এইগুলি প্রমাণ যে, আল্লাহ্‌ই সত্য এবং উহারা তাঁহার পরিবর্তে যাহাকে ডাকে, তাহা মিথ্যা। আল্লাহ্‌, তিনি তো সমুচ্চ, মহান।

সূরা লুকমান

اَلَمۡ تَرَ اَنَّ الۡفُلۡكَ تَجۡرِىۡ فِى الۡبَحۡرِ بِنِعۡمَتِ اللّٰهِ لِيُرِيَكُمۡ مِّنۡ اٰيٰتِهٖؕ اِنَّ فِىۡ ذٰ لِكَ لَاٰيٰتٍ لِّـكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوۡرٍ‏﴿۳۱﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩১ : তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে নৌযানগুলি সমুদ্রে বিচরণ করে, যদ্দ্বারা তিনি তোমাদেরকে তাঁহার নিদর্শনাবলীর কিছু প্রদর্শন করেন ? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।

সূরা লুকমান

وَاِذَا غَشِيَهُمۡ مَّوۡجٌ كَالظُّلَلِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخۡلِصِيۡنَ لَهُ الدِّيۡنَ ۙ فَلَمَّا نَجّٰٮهُمۡ اِلَى الۡبَـرِّ فَمِنۡهُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ‌ؕ وَمَا يَجۡحَدُ بِاٰيٰتِنَاۤ اِلَّا كُلُّ خَتَّارٍ كَفُوۡرٍ‏﴿۳۲﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩২ : যখন তরংগ উহাদেরকে আচ্ছন্ন করে মেঘচ্ছায়ার মত তখন উহারা আল্লাহ্‌কে ডাকে তাহার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া। কিন্তু যখন তিনি উহাদেরকে উদ্ধার করিয়া স্থলে পৌঁছান তখন উহাদের কেহ কেহ সরল পথে থাকে ; কেবল বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।

সূরা লুকমান

يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّكُمۡ وَاخۡشَوۡا يَوۡمًا لَّا يَجۡزِىۡ وَالِدٌ عَنۡ وَّلَدِهٖ وَلَا مَوۡلُوۡدٌ هُوَ جَازٍ عَنۡ وَّالِدِهٖ شَيۡـــًٔا‌ ؕ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ‌ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الۡحَيٰوةُ الدُّنۡيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمۡ بِاللّٰهِ الۡغَرُوۡرُ‏﴿۳۳﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩৩ : হে মানুষ ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর এবং ভয় কর সেই দিনের, যখন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসিবে না, সন্তানও কোন উপকারে আসিবে না তাহার পিতার। আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুইতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।

সূরা লুকমান

اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَةِ‌ ۚ وَيُنَزِّلُ الۡغَيۡثَ‌ ۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِى الۡاَرۡحَامِ‌ ؕ وَمَا تَدۡرِىۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَكۡسِبُ غَدًا‌ ؕ وَّمَا تَدۡرِىۡ نَـفۡسٌۢ بِاَىِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيۡمٌ خَبِيۡرٌ  ‏﴿۳۴﴾

সূরা লুকমান

৩১-৩৪ : কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র নিকট রহিয়াছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যাহা জরায়ুতে আছে। কেহ জানে না আগামীকল্য সে কি অর্জন করিবে এবং কেহ জানে না কােন্‌ স্থানে তাহার মৃত্যু ঘটিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।