সূরা আয্ যুখরুফ

দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে,

নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১ : হা - মীম।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২ : শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩ : আমি ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায় কুরআন, যাহাতে তোমরা বুঝিতে পার।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪ : ইহা তো রহিয়াছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবে; ইহা মহান, জ্ঞানগর্ভ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫ : আমি কি তোমাদের হইতে এই উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করিয়া লইব এই কারণে যে, তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬ : পূর্ববর্তীদের নিকট আমি বহু নবী প্রেরণ করিয়াছিলাম।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭ : এবং যখনই উহাদের নিকট কোন নবী আসিয়াছে উহারা তাহাকে ঠাট্টা - বিদ্রপ করিয়াছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮ : যাহারা ইহাদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল ছিল, তাহাদেরকে আমি ধ্বংস করিয়াছিলাম; আর এইভাবে চলিয়া আসিয়াছে পূর্ববর্তীদের অনুরূপ দৃষ্টান্ত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৯ : তুমি যদি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘কে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছে?’ উহারা অবশ্যই বলিবে, ‘এইগুলি তো সৃষ্টি করিয়াছেন পরাক্রমশালী, র্সবজ্ঞ আল্লাহ্‌’,

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১০ : যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করিয়াছেন শয্যা এবং উহাতে করিয়াছেন তোমাদের চলিবার পথ, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাইতে পার;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১১ : এবং যিনি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন পরিমিতভাবে। অতঃপর আমি তদ্দ্বারা সঞ্জীবিত করি নির্জীব জনপদকে। এইভাবেই তোমাদেরকে বাহির করা হইবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১২ : আর যিনি সকল প্রকারের জোড়া যুগল সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন এমন নৌযান ও আন‘আম তথা চতুষ্পদ জন্তু, যাহাতে তোমরা আরোহণ কর ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৩ : যাহাতে তোমরা উহাদের পৃষ্ঠে স্থির হইয়া বসিতে পার. তারপর তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ কর যখন তোমরা উহার উপর স্থির হইয়া বস ; এবং বল, ‘পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি ইহাদেরকে আমাদের বশীভূত করিয়া দিয়াছেন, যদিও আমরা সমর্থ ছিলাম না ইহাদেরকে বশীভূত করিতে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৪ : ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করিব।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৫ : উহারা তাঁহার বান্দাদের মধ্য হইতে তাঁহার অংশ সাব্যস্ত করিয়াছে। মানুষ তো স্পষ্টই অকৃতজ্ঞ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৬ : তিনি কি তাঁহার সৃষ্টি হইতে নিজের জন্য কন্যা সন্তান গ্রহণ করিয়াছেন এবং তোমাদেরকে বিশিষ্ট করিয়াছেন পুত্র সন্তান দ্বারা?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৭ : দয়াময় আল্লাহ্‌র প্রতি উহারা যাহা আরোপ করে উহাদের কাহাকেও সেই সন্তানের সংবাদ দেওয়া হইলে তাহার মুখমণ্ডল কালো হইয়া যায় এবং সে দুঃসহ মর্ম যাতনায় ক্লিষ্ট হয়।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৮ : উহারা কি আল্লাহ্‌র প্রতি আরোপ করে এমন সন্তান, যে অলঙ্কারে মণ্ডিত হইয়া লালিত - পালিত হয় এবং তর্ক - বিতর্ককালে স্পষ্ট বক্তব্যে অসমর্থ?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-১৯ : উহারা দয়াময় আল্লাহ্‌র বান্দা ফিরিশ্‌তাদেরকে নারী গণ্য করিয়াছে ; ইহাদের সৃষ্টি কি উহারা প্রত্যক্ষ করিয়াছিল? উহাদের উক্তি অবশ্য লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উহাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হইবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২০ : উহারা বলে, ‘দয়াময় আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করিলে আমরা ইহাদের পূজা করিতাম না।’ এ বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান নাই ; উহারা তো কেবল মনগড়া বলিতেছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২১ : আমি কি উহাদেরকে কুরআনের পূর্বে কোন কিতাব দান করিয়াছি যাহা উহারা দৃঢ়ভাবে ধারণ করিয়া আছে?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২২ : বরং উহারা বলে, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৩ : এইভাবে তোমার পূর্বে কোন জনপদে যখনই আমি কোন সতর্ককারী প্রেরণ করিয়াছি তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিরা বলিত, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৪ : সেই সতর্ককারী বলিত, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে পথে পাইয়াছ, আমি যদি তোমাদের জন্য তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট পথনির্দেশ আনয়ন করি তবুও কি তোমরা তাহাদের পদাংক অনুসরণ করিবে? তাহারা বলিত, ‘তোমরা যাহাসহ প্রেরিত হইয়াছ আমরা তাহা প্রত্যাখ্যান করি।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৫ : অতঃপর আমি উহাদের হইতে প্রতিশোধ লইলাম। দেখ, মিথ্যাচারীদের পরিণাম কী হইয়াছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৬ : স্মরণ কর, ইব্‌রাহীম তাহার পিতা এবং সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা যাহাদের পূজা কর তাহাদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৭ : ‘সম্পর্ক আছে শুধু তাঁহারই সঙ্গে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তিনিই আমাকে সৎপথে পরিচালিত করিবেন।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৮ : এই ঘোষণাকে সে স্থায়ী বাণীরূপে রাখিয়া গিয়াছে তাহার পরবর্তীদের জন্য, যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-২৯ : বরঞ্চ আমিই উহাদেরকে এবং উহাদের পূর্বপুরুষদেরকে দিয়াছিলাম ভোগের সামগ্রী, অবশেষে উহাদের নিকট আসিল সত্য এবং স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩০ : যখন উহাদের নিকট সত্য আসিল, উহারা বলিল, ‘ইহা তো জাদু এবং আমরা ইহা প্রত্যাখ্যান করি।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩১ : এবং ইহারা বলে, ‘এই কুরআন কেন নাযিল করা হইল না দুই জনপদের কোন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির উপর?’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩২ : ইহারা কি তোমার প্রতিপালকের করুণা বণ্টন করে? আমিই উহাদের মধ্যে উহাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের উপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাহাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করাইয়া লইতে পারে; এবং উহারা যাহা জমা করে তাহা হইতে তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ উৎকৃষ্টতর।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৩ : সত্য প্রত্যাখ্যানে মানুষ এক - মতাবলম্বী হইয়া পড়িবে, এই আশংকা না থাকিলে দয়াময় আল্লাহ্‌কে যাহারা অস্বীকার করে, উহাদেরকে আমি দিতাম উহাদের গৃহের জন্য রৌপ্য - নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি যাহাতে উহারা আরোহণ করে,

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৪ : এবং উহাদের গৃহের জন্য দরজা ও পালঙ্ক - যাহাতে উহারা হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতে পারে,

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৫ : এবং স্বর্ণ - নির্মিতও। আর এই সকলই তো শুধু পার্থিব জীবনের ভোগ - সম্ভার। মুত্তাকীদের জন্য তোমার প্রতিপালকের নিকট রহিয়াছে আখিরাতের কল্যাণ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৬ : যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহ্‌র স্মরণে বিমুখ হয় আমি তাহার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান, অতঃপর সে - ই হয় তাহার সহচর।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৭ : শয়তানেরাই মানুষকে সৎপথ হইতে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তাহারা সৎপথে পরিচালিত হইতেছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৮ : অবশেষে যখন সে আমার নিকট উপস্থিত হইবে, তখন সে শয়তানকে বলিবে, ‘হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকিত!’ কত নিকৃষ্ট সহচর সে !

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৩৯ : আর আজ তোমাদের এই অনুতাপ তোমাদের কোন কাজেই আসিবে না, যেহেতু তোমরা সীমালংঘন করিয়াছিলে ; তোমরা তো সকলেই শাস্তিতে শরীক।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪০ : তুমি কি শোনাইতে পারিবে বধিরকে অথবা যে অন্ধ ও যে ব্যক্তি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে, তাহাকে কি পারিবে সৎপথে পরিচালিত করিতে?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪১ : আমি যদি তোমাকে লইয়া যাই, তবু আমি উহাদেরকে শাস্তি দিব ;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪২ : অথবা আমি উহাদেরকে যে শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করিয়াছি, আমি তোমাকে তাহা প্রত্যক্ষ করাই, বস্তুত উহাদের উপর আমার তো পূর্ণ ক্ষমতা রহিয়াছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৩ : সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৪ : কুরআন তো তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্য সম্মানের বস্তু ; তোমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হইবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৫ : তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম তাহাদেরকে তুমি জিজ্ঞাসা কর, আমি কি দয়াময় আল্লাহ্ ব্যতীত কোন দেবতা স্থির করিয়াছিলাম যাহার ‘ইবাদত করা যায়?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৬ : মূসাকে তো আমি আমার নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রেরিত।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৭ : সে উহাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসিবামাত্র উহারা তাহা লইয়া হাসি - ঠাট্টা করিতে লাগিল।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৮ : আমি উহাদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাই নাই যাহা উহার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয়। আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৪৯ : উহারা বলিয়াছিল, হে জাদুকর! তোমার প্রতিপালকের নিকট তুমি আমাদের জন্য তাহা প্রার্থনা কর যাহা তিনি তোমার সঙ্গে অঙ্গীকার করিয়াছেন, তাহা হইলে আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করিব।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫০ : অতঃপর যখন আমি উহাদের হইতে শাস্তি বিদূরিত করিলাম তখনই উহারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়া বসিল।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫১ : ফির‘আওন তাহার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বলিয়া ঘোষণা করিল, হে আমার সম্প্রদায় ! মিসর রাজ্য কি আমার নয়? আর এই নদীগুলি আমার পাদদেশে প্রবাহিত ; তোমরা ইহা দেখ না?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫২ : ‘আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি হইতে, যে হীন এবং স্পষ্ট কথা বলিতেও অক্ষম !

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৩ : ‘মূসাকে কেন দেওয়া হইল না স্বর্ণ - বলয় অথবা তাহার সঙ্গে কেন আসিল না ফিরিশ্‌তাগণ দলবদ্ধভাবে?’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৪ : এইভাবে সে তাহার সম্প্রদায়কে হতবুদ্ধি করিয়া দিল, ফলে উহারা তাহার কথা মানিয়া লইল। উহারা তো ছিল এক সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৫ : যখন উহারা আমাকে ক্রোধান্নিত করিল আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম এবং নিমজ্জিত করিলাম উহাদের সকলকে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৬ : তৎপর পরবর্তীদের জন্য আমি উহাদেরকে করিয়া রাখিলাম অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৭ : যখন মরিয়ম - তনয়ের দৃষ্টান্ত উপস্থিত করা হয়, তখন তোমার সম্প্রদায় তাহাতে শোরগোল আরম্ভ করিয়া দেয়,

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৮ : এবং বলে, ‘আমাদের উপাস্যগুলি শ্রেষ্ঠ না ‘ঈসা?’ ইহারা কেবল বাক - বিতণ্ডার উদ্দেশ্যেই তোমাকে এই কথা বলে। বস্তুত ইহারা তো এক বিতণ্ডাকারী সম্প্রদায়।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৫৯ : সে তো ছিল আমারই এক বান্দা, যাহাকে আমি অনুগ্রহ করিয়াছিলাম এবং করিয়াছিলাম বনী ইসরাঈলের জন্য দৃষ্টান্ত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬০ : আমি ইচ্ছা করিলে তোমাদের মধ্য হইতে ফিরিশ্‌তা সৃষ্টি করিতে পারিতাম, যাহারা পৃথিবীতে উত্তরাধিকারী হইত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬১ : ‘ঈসা তো কিয়ামতের নিশ্চিত নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামতে সন্দেহ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর। ইহাই সরল পথ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬২ : শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই নিবৃত্ত না করে, সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৩ : ‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিল তখন সে বলিয়াছিল, আমি তো তোমাদের নিকট আসিয়াছি প্রজ্ঞাসহ এবং তোমরা যে কতক বিষয়ে মতভেদ করিতেছ, তাহা স্প্ষ্ট করিয়া দিবার জন্য সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৪ : ‘আল্লাহ্‌ই তো আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক, অতএব তোমরা তাঁহার ‘ইবাদত কর ; ইহাই সরল পথ।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৫ : অতঃপর উহাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করিল, সুতরাং জালিমদের জন্য দুর্ভোগ মর্মন্তুদ দিবসের শাস্তির।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৬ : উহারা তো উহাদের অজ্ঞাতসারে আকস্মিকভাবে কিয়ামত আসিবারই অপেক্ষা করিতেছে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৭ : বন্ধুরা সেই দিন হইয়া পড়িবে একে অপরের শত্রু, মুত্তাকীরা ব্যতীত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৮ : হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং তোমরা দুঃখিতও হইবে না।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৬৯ : যাহারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করিয়াছিল এবং আত্মসর্মপণ করিয়াছিল -

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭০ : তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭১ : স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র লইয়া তাহাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হইবে; সেখানে রহিয়াছে সমস্ত কিছু, যাহা অন্তর চাহে এবং যাহাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হইবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭২ : ইহাই জান্নাত, তোমাদেরকে যাহার অধিকারী করা হইয়াছে, তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৩ : সেখানে তোমাদের জন্য রহিয়াছে প্রচুর ফলমূল, তাহা হইতে তোমরা আহার করিবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৪ : নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে থাকিবে স্থায়িভাবে ;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৫ : উহাদের শাস্তি লাঘব করা হইবে না এবং উহারা উহাতে হতাশ হইয়া পড়িবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৬ : আমি উহাদের প্রতি জুলুম করি নাই, বরং উহারা নিজেরাই ছিল জালিম।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৭ : উহারা চিৎকার করিয়া বলিবে, ‘হে মালিক, তোমার প্রতিপালক যেন আমাদেরকে নিঃশেষ করিয়া দেন।’ সে বলিবে, ‘তোমরা তো এইভাবেই থাকিবে।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৮ : আল্লাহ্‌ বলিবেন, ‘আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যবিমুখ।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৭৯ : উহারা কি কোন ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে? বরং আমিই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮০ : উহারা কি মনে করে যে, আমি উহাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণার খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফিরিশ্‌তাগণ তো উহাদের নিকট থাকিয়া সবকিছু লিপিবদ্ধ করে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮১ : বল, ‘দয়ময় আল্লাহ্‌র কোন সন্তান থাকিলে আমি হইতাম তাহার উপাসকগনের অগ্রণী ;

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮২ : ‘উহারা যাহা আরোপ করে তাহা হইতে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অধিপতি এবং আরশের অধিকারী পবিত্র মহান।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৩ : অতএব উহাদেরকে যে দিবসের কথা বলা হইয়াছে তাহার সম্মুখীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তুমি উহাদেরকে বাক - বিতণ্ডা ও ক্রীড়া - কৌতুক করিতে দাও।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৪ : তিনিই ইলাহ্ নভোমণ্ডলে, তিনিই ইলাহ্ ভূতলে এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৫ : কত মহান তিনি, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর সার্বভৌম অধিপতি ! কিয়ামতের জ্ঞান কেবল তাঁহারই আছে এবং তাঁহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৬ : আল্লাহ্‌র পরিবর্তে উহারা যাহাদেরকে ডাকে, সুপারিশের ক্ষমতা তাহাদের নাই, তবে যাহারা সত্য উপলব্ধি করিয়া উহার সাক্ষ্য দেয়, তাহারা ব্যতীত।

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৭ : যদি তুমি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে উহাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছে, উহারা অবশ্যই বলিবে, ‘আল্লাহ্‌’। তবুও উহারা কোথায় ফিরিয়া যাইতেছে ?

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৮ : আমি অবগত আছি রাসূলের এই উক্তি: ‘হে আমার প্রতিপালক! এই সম্প্রদায় তো ঈমান আনিবে না।’

সূরা আয্ যুখরুফ

৪৩-৮৯ : সুতরাং তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর এবং বল, ‘সালাম’; উহারা শীঘ্রই জানিতে পারিবে।